অনামিকা

-প্রিন্স ঠাকুর

কোনো এক পড়ন্ত বসন্ত বিকেলে
পাখির কলতান, ভ্রমরের গুঞ্জন, কোকিলের কুহুকুহু
ডাকে মুখরিত ফুলবাগিচার পাশের পার্কের চেয়ারে
হেলান দিয়ে বসেছিলে আনমনা একাকী।
বিকেলের সোনালি রোদের একফালি রোদ
তোমার সুন্দর মুখটাকে করেছিল আরো সুন্দর।
চোখে চোখ পড়তেই―
অম্লান হাসি দিয়ে কী যেন বলতে চেয়েছিলে,
চোখে চোখে হয়েছিল কথা।
দুজনের মাঝে চলে দুষ্টু-মিষ্টি প্রেম-ইশারা।
তোমার রূপের ঝলকে চোখের পলক পড়েনি,
আস্তে ধীরে পাশের চেয়ারে বসে পড়ি
নির্বাক, নির্বোধ হয়ে চেয়ে থাকি একটানা।
আমার জীবনে প্রথম ভালোবাসার ঢেউ উঠেছিল
তোমার সেই মোনালিসা হাসিতে।
স্নেহ-মমতায় জড়ানো ভালোবাসার হৃদয়―
দিয়েছিলাম উজাড় করে তোমাকে।

কিছুটা আনমনা হতেই
আঁধারের মাঝে কোথায় যেন মিলিয়ে গেলে তুমি।
ভুলতে পারবে না তুমি, আদৌ সম্ভব নয়।
তোমাকে জানার আগেই কীসের যেন টানে
তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম―
ভালোবেসেও ছিলাম হয়তো।
তাই আজও মনে পড়ে,
বসন্তে কোকিলের ডাক, ভ্রমরের গুঞ্জনে তোমার স্মৃতি।

হয়তো কোনোদিন দেখা হবে না আর,
কিন্তু… আজও বয়ে বেড়াচ্ছি সেই অজানা জিজ্ঞাসাটি;
তুমি কে, কেন, কার আশায়, কীসের আশায়
বসেছিলে একাকী?

১৫.১২.১৯৯৭ ইংরেজি, প্রেমকানন, খুলনা।

কাব্যগ্রন্থ : সুখ সুখ কস্ট, ২০১৯।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *