-প্রিন্স ঠাকুর
সারাদিন বৃষ্টি, ভিজছে শরীর, ভিজছে শহর এবং গ্রাম
বৃষ্টি পড়ে মাথায়, মাথা থেকে কপাল, চোখ, নাক, মুখ, চোয়াল;
চোয়াল বেয়ে সমস্ত শরীর। শরীরে অজানা সুখের শিহরন,
শিহরিত শরীর আবেগে আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে আর তোমাকে খোঁজে।
টিপটিপ বৃষ্টির নূপুরের শব্দ যখন কানে আসে
মনগহীনে তখন তোমার আনাগোনার আওয়াজ অনুভব করি।
আস্তে ধীরে শান্ত শরীর অশান্ত হয়ে আসে।
আচমকা ঘোর কেটে যায়, তুমি পাশে নেই ভাবতেই গায়ে দেয় কাঁটা
চোখের কোণে জল, জল গড়িয়ে গড়িয়ে মাটিতে
ক্লান্ত শরীর অবসন্ন মন চোখের পাতায় ভর করে,
চোখ হয়ে আসে বন্ধ, বন্ধ চোখে তুমি…
মনের ঘরে নিত্য আসা যাওয়া, চোখ খুলতেই দিবালোকে হারিয়ে যাও।
এভাবে কেটে যায় দিন, দিন শেষে রাত;
রাতের আঁধারে স্বপ্নেরা দেয় উঁকি।
তোমার হাত ধরে স্বপ্নলোকে হারিয়ে যাই।
রাত হয় ভোর, স্বপ্ন থেকে বাস্তবে ফিরে আসি―বাস্তব জ্বলন্ত চুলা,
দগ্ধ হয় মন, প্রাণ, সমস্ত শরীর; তবু দগ্ধ মন তোমাকে খোঁজে।
কোথায় আছো, কেমনে আছো, দেখা হবে কবে, কবে আসবে তুমি?
১১.১০.২০১২ ইংরেজি, পুরানা পল্টন, ঢাকা।
কাব্যগ্রন্থ : শূন্যতার ঘ্রাণ, ২০২০।