প্রত্যাশা

-প্রিন্স ঠাকুর

ফেলে-আসা দিনের স্মৃতির ঝাঁপি খুলি
কিছু কি মনে পড়ে?
মনেও পড়ে না কিছুই পোড়া ছাই।

ওই যে ছেলেবেলা; দেখা যায় ওই যে
চলে যায় হামাগুড়ি দিয়ে বার্ধক্যের নির্দেশিত পথে।
কোনো স্মৃতি কি পাওয়া যাবে না ওর কাছে?
কিছুই নেই! বলুন তা হলে, কীভাবে সময় যাবে।
এই যে, সারাক্ষণ চুপচাপ একলা বিএম রোডে
কখন থেকে কেমন বসে আছি, খেয়াল নেই।

দূরে-কাছে কেবলই দোকান-রেস্তোরাঁ;
কোনোটা পাকা, কোনোটা কাঁচা।
পাশেই বাসস্ট্যান্ড;
গাড়ি আসছে, যাত্রী নামছে-উঠছে, চলে যাচ্ছে।
সামনে বাড়ি, শুধুই বাড়ি আর বাড়ি;
একতলা, দুতলা, তিনতলা,
কোনোটা-বা পাঁচ-ছয়, আট-দশও আছে বৈকি;
কোথাও ফাঁকা ছাদ, কোনোটাতে অ্যানটিনা, ডিশ;
কোথাও জানালায় পর্দা উড়ছে; পত পত শব্দে।

কেউ কি নেই ওসব জানালায়?
সাদাসিধে একটা মুখ, সাদাসিধে চোখ-নাক,
রক্ত গোলাপ ঠোঁটে ম্লান হাসি, মেঘ কালো চুল।

ওগো মেয়ে! দেখা দাও, তুমি কোথায়?
তোমাকে দেখব―একটু কাছে যাব,
তোমায় যে ছুঁতে চায় এ মন।
আমায় নেবে তুমি সাথি করে?

২৭.০৯.১৯৯৬ ইংরেজি, বয়রা বাস টার্মিনাল, বয়রা, খুলনা।

কাব্যগ্রন্থ : শূন্যতার ঘ্রাণ, ২০২০।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *