-প্রিন্স ঠাকুর
রোজই দেখতাম তোমাকে―
কিছু বলার সাহস করিনি কোনো দিন।
একদিন, সাহস করে সামনে দাঁড়িয়ে,
একটি রক্তাক্ত গোলাপ হাতে দিয়ে বললাম―
তুমি আমার জীবনে গোলাপ হয়ে থেকো।
ভোরের শিউলির মতো নম্র সুগন্ধময় তুমি,
তুমি পূর্ণিমার চাঁদের মতো স্নেহ-শীতল।
ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিলে তুমি…
আমার জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটে যায়―
লেখাপড়া, স্বপ্নবোনা, আড্ডাবাজি আর তুমি
ভালোই চলছিল দিনের পর দিন, অনেকটা দিন।
পূর্বাকাশে আচমকা কালো মেঘের আনাগোনা
শুরু হয় ঝড়ো হাওয়ার তা-ব আর বিজলির ছটা―
সেই সাথে মেঘেদের দামামা-বাদন নৃত্য
অন্তরনিলে বর্ষণের ঘর্ষনজনিত কোলাহলের ভিড়ে
অতঃপর চলে গেলে অনেক দূরে। দূরে, বহুদূরে…
তোমাকে ভুলতে পারিনি আজো, ভুলতে পারব না,
আমি দূর থেকে তোমার সৌন্দর্য অনুভব করে
মনের অজান্তে হয়তো দুফোঁটা চোখের জল ফেলব―
তবুও কাছে এসে; পাশে দাঁড়িয়ে, নির্বোধের মতো
তোমার সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেব না।
নাই-বা পেলাম তোমায় সাথিরূপে পাশে,
তুমি থাকবে সারাটা জনম স্মৃতির পাতায়,
মনের বাগিচায় ফুটন্ত গোলাপ হয়ে।
১২.১২.১৯৯৭ ইংরেজি, বাপের ভিটে, রুন্দিয়া, নড়াইল।
কাব্যগ্রন্থ : শূন্যতার ঘ্রাণ, ২০২০।