ভুল নাকি ঠিক

-প্রিন্স ঠাকুর

সুখসাগরে গা ভাসিয়েছ তুমি আজ
জীবনখাতার পাতায় লেখা বর্ণমালা
সবই কি এখন অস্পষ্ট দৃশ্যহীন?

তোমাকে লিখব বলে ভাবি,
কাগজ-কলম ধরতেই সহসা কাঁধে হাত রাখে স্মৃতিরা―
চমকে উঠি, ফিরে তাকাই এবং খুঁজে ফিরি,
হিসাব মেলাতেই আহত হই।
মিলে যায়, মিলে যায় সবই এক এক করে।
হাত থেকে কাগজ-কলমেরা খসে পড়ে,
অথৈ সাগরে ভাসে দু’নয়ন।

কেন এমন হলো? প্রশ্ন ভেসে আসে―
উত্তর মেলাতে পারি না। ভুল নাকি ঠিক!
¬¬
জীবনতরি ধরি শক্ত হাতে।
অপূর্ণতায় পেশিবহুল হাতের পাঁজর কাঁপতে থাকে
অবুঝ মনের কল্পনাতে নামে আঁধার,
স্বপ্নিল আকাশে নামে মেঘের ঘনঘটা।
তরী মাঝসাগরে ভাঙে হাল―নাবিক মুখ থুবড়ে পড়ে।
সারি কাঠে পেরেক ঠুকে নৌকা গড়া, তবে কেন ধরল চির?

ভালো লাগা-ভালোবাসা অন্তরে অন্তর।
নষ্ট দেহের নষ্টামি, নরম কোমল শরীরে ভ্রমরের গুঞ্জন,
সে তো কল্পনাতীত।

এর জন্যই কি? জীবনবৃন্ত থেকে ভালোবাসার ফুল
বিকশিত না হতেই ঝিরঝিরে বাতাসে ঝরে পড়ল―
পথের ধুলায়। এই কি ছিল ভুল, নাকি ঠিক!

২৬.০৮.১৯৯৭ ইংরেজি, খুলনা হাদিস পার্ক, খুলনা।

কাব্যগ্রন্থ : শূন্যতার ঘ্রাণ, ২০২০।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *