মনে পড়ে এখনো

-প্রিন্স ঠাকুর

এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেল সেদিন―
যুবকের চোখ খোঁজে এক সুন্দরী যুবতীর মুখ।
অকস্মাৎ―
মনচোর এসে হৃদয়ের কড়ায় দিয়ে যায় নাড়া,
বিবাহের অনুষ্ঠানকে নিষ্প্রভ করে দিয়ে
সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নিল;
সেই পাতলা মিহি সুতার আকাশী ওড়নার যুবতী।
ওড়নার ফাঁক থেকে ঝরে পড়ল মুগ্ধতা,
চোখে পড়ল আকর্ষণীয় বুকের সৌন্দর্য;
আর তার মায়াভরা কোমল অবয়ব।

যুবকটা ছুঁয়ে দিল যুবতীর নিষ্কলুষ বুক,
হয়তো কেঁপেছিল বুকটা; ধপাস-ধপাস।
তৎক্ষণাৎ―
ঝরে পড়ল হাত থেকে মুঠো মুঠো আনন্দ,
মনে এক অজানা সুখ অনুভবে শিহরিত যুবতী।

কর্ণকুহরে বাজে চোরা জলস্রোত,
স্রোত-চোরা, নারীমন টানে গহীন গভীরে;
মধ্যসাগর জুড়ে চলে অবিরাম ডুবু-ডুবু খেলা,
ভাঙে ক্লান্ত ঢেউ।
লবণজড়িত ভিজে চুল বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে
নামে ঘোলাজল।
কামবিলাসে মগ্ন; চিন্তাহীন সহবাস,
পরশমাখা মধুর শব্দে কেটেছে সমস্ত রাত।

হৃদয়ে দোলা দেয় আজও সেই রমণীর সুন্দর মুখ,
বুকের গহীনে বাজে যুবতীর চলা নূপুরের শব্দ।
মনে পড়ে এখনো।

১১.০৬.১৯৯৮ ইংরেজি, গেড়াখোলা, ফরিদপুর।

কাব্যগ্রন্থ : সুখ সুখ কস্ট, ২০১৯।

Share

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *