Description
অনেকেই এ অভিযোগ করেন যে, কবিতা পড়ে বুঝতে পারি না। আসলে কবিতা এমন এক শিল্প-মাধ্যম, বিনা প্রস্তুতিতে তা পাঠের স্বাদ উদ্ধার করা যায় না। কবিতা পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে এবং বিমোহিত করে দেয়। মূল ভাব না বুঝতে পারলেও এক ধরণের অনুভুতির সৃষ্টি করে। কবিতা হলো একজন কবির একান্তই ব্যক্তিগত অনুভবের শব্দমালায় তৈরি শিল্প। তা কাউকে স্পর্শ করুক আর না করুক তাতে কবির কিছুই যায় আসে না। তবে, কবিতা মনের কথা বলে, হৃদয়ের ভাষা বোঝে।
প্রিন্স ঠাকুর সময়ের একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি। কবিতাকে ধ্যান-জ্ঞান করে অব্যহত রেখেছেন তার কাব্যচচ্র্চা। এই ব্যতিক্রমধর্মী কাব্যচচ্র্চার সঙ্গী কেউ নেই। প্রিয়জনের শূন্যতা অনুভব করেই মনের আবেগে লিখেছেন ‘শূন্যতার ঘ্রাণ’ নামের এ কাব্যগ্রন্থটি। এ গ্রন্থের কবিতাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়। কবিতাগুলো পড়লে যে কেউ বলবেই এতো আমার মনের কথা বলছে, আমার হৃদয়ের কথাগুলি লেখা হয়েছে কবিতার মাধ্যমে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা ২০২০ সালে। ৪৮ পৃষ্ঠার বইটিতে ৪২টি কবিতা সূচিবদ্ধ করা হয়েছে।
প্রেম নামের সুখপাখিটি/ উড়ে গেল কই,/ প্রেমবিহীন প্রেমপূজারী/ কেমনে আমি হই। -(প্রেমপূজারি/ পৃষ্ঠা ২৭)। আকাশজুড়ে মেঘ করেছে/ তারই ফাঁকে চাঁদ/ দুই হৃদয়ের মিলনমেলা/ এ কি প্রেমের ফাঁদ। -(পূর্ণিমা রাত/ পৃষ্ঠা ৩৪)। এরকম সহজ, সরল শব্দের গাঁথুনি দিয়ে নির্মাণ করেছেন তার কবিতার শরীর। তার কবিতায় প্রকৃতি ও প্রেমের এক লীলাময়ী রূপ দেখা যায়। আশা করি প্রিন্স ঠাকুরের কবিতা পাঠক বুঝতে পারবেন।
Reviews
There are no reviews yet.