Description
কবিতার আকার এমনই যে, একটি বইয়ের একটি পৃষ্ঠার অনেকটাই সাদা জমিন ফাঁকা পড়ে থাকে। আমরা যদি এই ফাঁকা সাদা জমিনকে সুখ ধরে নেই তাহলে কালো কালিতে লেখা শব্দমালা তবে কষ্ট। আসলে কষ্ট/সুখ থেকেই তো কবিতার জন্ম অধিকাংশ ক্ষেত্রে। ‘সুখ সুখ কষ্ট’ কবি প্রিন্স ঠাকুরের লেখা কবিতার বইয়ের নামটি দেখে এমনই একটি অনুভূতির প্রকাশ পায়। একগুচ্ছ প্রেমের কবিতার সমাবেশ ঘটেছে এই বইটিতে।
তুমি তমালিকা নাকি মল্লিকা/ নাকি তুমি সাগরিকা?/ কী নামে ডাকব তোমায়,/ যূথিকা নাকি প্রিয়াঙ্কা?/ সমুদ্রসৈকতে অধিষ্ঠিতা ঊর্বশী/ নাকি তুমি চয়ন্তিকা?/ তুমি ভোরের শিশিরসিক্ত শিউলী/ নাকি তুমি অনামিকা?/ কী নামে ডাকব তোমায়,/ বীথিকা নাকি অনুপা?/ তুমি কি কোনো কবির লেখা কবিতা,/ নাকি তুমি শুধুই ছবি মনিকা?/ শিল্পীর হৃদয়ের ক্যানভাসে আঁকা,/ মানসী নাকি তুমি স্মরণিকা?/ তুমি পলাশ নাকি হাসনাহেনা,/ নাকি ভোরের আকাশ, উদার-অসীম,/ নাকি তুমি লিপিকা?/ তুমি তন্বী নাকি মোর তনয়া;/ নাকি বাসন্তী, নাকি দিপালী/ কী নামে ডাকব তোমায়,/ লাবণ্য নাকি লাবণী?/ তুমি চৈতি নাকি কণিকা/ নাকি তুমি মোর প্রেমিকা?/ কী নামে ডাকব তোমায়,/ বৃষ্টি নাকি তুমি মিনাক্ষী? -(কে তুমি-২, পৃষ্ঠা ৮)।
প্রেমের কবিতা পড়তে গেলেই পাঠক মনে একজন প্রেমিকার রূপ মূর্ত হয়ে ওঠে। সেই প্রেমিকার নাম কি হতে পারে? একের পর এক নাম দিয়ে কবি তার প্রেমিকাকে ডাকতে চায়। বাংলা কবিতায় এমন অসংখ্য প্রেমের কবিতা রয়েছে। প্রায় প্রত্যেক কবিই তার প্রেমিকাকে অমর করার প্রয়াস চালিয়েছেন কবিতার মাধ্যমে। কেউ তার কাল্পনিক প্রেমিকাকে মূর্ত করতে চেয়েছেন, কেউ কবিতাকে অমর করতে প্রেমিকাকে টেনে এনেছেন তার কবিতার আলিঙ্গনে।
তারিখ এবং স্থানের ঠিকানা/নাম তুলে দিয়ে কবি তার কবিতাগুলোকে আরো বেশি পাঠক ঘনিষ্ট করে তুলেছেন। প্রেমের কষ্টেও যে সুখ আছে সেই সুনিবিড় মেলবন্ধন এই কবিতাগুলো। পাঠক মন ছুঁয়ে যাবে বলে আশা রাখি।
Reviews
There are no reviews yet.